সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এএইচএম মাহফুজুর রহমান বলেছেন, গ্রাম আদালতকে মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত করতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। সেবা গ্রহীতারা যাতে হয়রানীর শিকার না হন, সেদিকে নজর রাখতে হবে। গ্রাম আদালতকে সার্বজনিন করতে এর সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় অধিবাসী সকলের সমান দৃষ্টি ও সহযোগিতা গ্রাম আদালতের কার্যক্রমকে আরো বেগবান করতে পারে। এজন্য তিনি সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি ১৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারস্থ একটি অভিজাত হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় সিলেট জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের আয়োজনে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরদের গ্রাম আদালত বিষয়ে (৩য় ব্যাচ) তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
সমাপনী দিনে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন এসএমপির সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার মতিয়ার রহমান,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের জেলা ফ্যাসিলিটেটর খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম।
উল্লেখ যে, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ২য় প্রকল্প মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত গ্রাম আদালত সহকারীরা হিসাব সহকারীদের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর শুরু করেছে।
সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ এবং চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তী, ফরিদগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ এবং কচুয়া উপজেলার হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরগণ তিন দিন ব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে ।